Friday, December 28, 2018

আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে

জাতীয় যুব উন্নয়ন কর্মসংস্থান একাডেমী,কারিগরী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট, চৌমুহনী,বেগমগঞ্জ নোয়াখালী
আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আগামী ২৯/১২/২০১৮ থেকে ৩১/৩০/২০১৮ পর্যন্ত জাতীয় যুব উন্নয়ন কর্মসংস্থান একাডেমী এর সকল ধরনের কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। এবং আগামী ০১/০১/২০১৯ হতে সকল কার্যক্রম যথারীতি পূর্বের ন্যায় পরিচালিত হবে।

Wednesday, December 26, 2018

"বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম" "কর্মমুখী শিক্ষা,বেকারত্বের এক মাত্র সমাধান"প্রতিভা দিয়েই সব হয় না প্রয়োজন ইচ্ছাশক্তি, একাগ্রতা ও কঠোর পরিশ্রম" 50% ছাড়ে ভর্তি চলছে…কম্পিউটারের সকল কোর্সে ভর্তি চলছে....বিস্তারিত জানতে কলকরুন: 01727 645 990,গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার -ICT Division জাতীয় যুব উন্নয়ন কর্মসংস্থান একাডেমী,কারিগরী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট ★সাফল্যের শীর্ষে ১০ বৎসর★অফিস:করিমপুর রোড় রূপসা সিনেমা হলে পাশে,শহীদ হাসান স্মৃতি সড়ক,চৌমুহনী,বেগমগঞ্জ নোয়াখালী,Call:01727 645 990,অনলাইন আউটসোর্সিং ও ফ্রিল্যান্সিং  প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়ে! কোর্স সমূহ:1.বেসিক কম্পিউটার অফিস ম্যানেজমেন্ট কোর্স – Microsoft Office Application:MS Word, Excel, PowerPoint, Access,PC Troubleshooting,Internet Operating System,Etc. 2.প্রোগ্রামিং কোর্স – C,Java,Visual basic,3.ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট কোর্স,HTML,CSS,Dreamweaver,JavaScrpt,PHP,PHP.NET MySQL, CodeIgniter,Joomla Etc.6 Month,Basic 3 Month.4.গ্রাফিক্স ডিজাইন কোর্স Photoshop, Illustrator,Auto Cad 2D & 3D Etc.5.ভিডিও এনিমেশন কোর্স :Adobe Premiere Pro,EDIUS ,Photo Impact Flash, 3D Max Etc.6.ফ্রিল্যান্সিং এবং আউটসোর্সিং,6 Month,Basic 3 Month,7.কম্পিউটার হার্ডওয়্যার ও নেটওয়ার্কিং কোর্স,8.ডাটাবেইজ কোর্স–MS Access,Oracle,MySQL Etc.প্রযুক্তিগত শিক্ষার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করে পারলে , বিশ্বায়নের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি প্রযুক্তিগত এবংকারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিতরা দেশের বাইরে অর্থ উপার্জনে গেলে দেশের রেমিট্যান্স যেমন বাড়বে তেমনি দক্ষ জনশক্তি রফতানিকারক দেশ হিসেবে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তিও উজ্জ্বল,আপনার পেশা জীবনের লক্ষ্যগুলো পুনর্মূল্যায়ন করার ভবিষ্যতে আপনি নিজেকে কোন অবস্থানে দেখতে চান তা ঠিক করার উপযুক্ত সময়,দিন বদলের আহবান,কর্মমুখী শিক্ষা বেকারত্ব সমাধান। বি:দ্র: মহিলাদের জন্য আলাদা ব্যাচ,কর্মব্যস্ত ও চাকুরিজীবিদের জন্য শুক্রবার ব্যাচের ব্যবস্থা।"কর্মমুখী শিক্ষা বেকারত্বের এক মাত্র সমাধান"প্রতিভা দিয়েই সব হয় না প্রয়োজন ইচ্ছাশক্তি, একাগ্রতা ও কঠোর পরিশ্রম,জ্ঞান -বিজ্ঞানের সকল শাখায়" সকল পেশায় এমনকি ব্যক্তি জীবনে কম্পিউটার প্রযুক্তি মানুষের নিত্যসঙ্গী, তাই সবার কম্পিউটার এর ব্যবহার জানা প্রয়োজন। বিস্তারিত জানার জন্য যোগাযোগ করুন। Call:01727 645 990 বেকারত্বের এক মাত্র সমাধান প্রযুক্তিগত ও কারিগরি শিক্ষা।
"কর্মমুখী শিক্ষা বেকারত্বের এক মাত্র সমাধান"প্রতিভা দিয়েই সব হয় না প্রয়োজন ইচ্ছাশক্তি, একাগ্রতা ও কঠোর পরিশ্রম"ভর্তি চলছে^বেসিক কম্পিউটার অফিস ^ফ্রিল্যান্সিং এবং আউটসোর্সিং^গ্রাফিক্স ডিজাইন^হার্ডওয়্যার বিস্তারিত জানতে 01727645990 জাতীয় যুব উন্নয়ন কর্মসংস্থান একাডেমী চৌমুহনী নোয়াখালী

Thursday, December 20, 2018

সাকসেস কম্পিউটার চন্দ্রগঞ্জ নিউ মার্কেট,চন্দ্রগঞ্জ, লক্ষ্মীপুর।


Monday, December 17, 2018

১৬


বিশ্ব অর্থনীতিতে আইসিটি বা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি

জাতীয় যুব উন্নয়ন কর্মসংস্থান একাডেমী,কারিগরী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট সাফল্যের শীর্ষে ১০ বৎসর বিভাগীয় প্রধান অফিস:রিকাবী বাজার,অডিটোরিয়াম এর বিপরীতে সিলেট. প্রযুক্তিগত এবং কারিগরি শিক্ষার মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা সম্ভব।National Youth Development & Career Building Academy Sylhet Bangladesh, Office: RikabiBazer Point (Opposite of Sylhet Auditorium),Call:01727-645990 Career Growth & Global Opportunities Course: 1. M.S Office Application: Data Entry Bangla , English Typing & Operating System 2. Software Developer & Data Bess Programming 3. Diploma in Graphics Design 4. Multimedia Animation, Graphics & Video Editing 5. Diploma Hardware Software Engineering 6. Web Development & Outsourcing with Photoshop, Basic data base etc. Class Time: RMorning Time: 1st Base 10.00-11.30...2nd Base 11.30-01.00 RAfternoon Time: 3rd Base 01.00-2.30,4th Base 03.00-4.30,5th Base 04.30-6.00 REvening Time: 6th Base 07.00-8.30 Office: RikabiBazer Point (Opposite of Sylhet Auditorium),Sylhet,VISIT-FB.COM/SYLHET.NYDTC Contact for Details.Call:01727-645990-:--Worldwide Computer Training At Your Workplace.গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার -ICT জাতীয় যুব উন্নয়ন কর্মসংস্থান একাডেমী,কারিগরী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট সাফল্যের শীর্ষে ১০ বৎসর বিভাগীয় প্রধান অফিস:রিকাবী বাজার,অডিটোরিয়াম এর বিপরীতে সিলেট. প্রযুক্তিগত এবং কারিগরি শিক্ষার মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা সম্ভব। কোর্স সমূহ:1.বেসিক কম্পিউটার অফিস ম্যানেজমেন্ট কোর্স – Microsoft Office Application:MS Word, Excel, PowerPoint, Access,PC Troubleshooting,Internet Operating System,Etc. 2.প্রোগ্রামিং কোর্স – C, Java,Visual basic,3.ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট কোর্স HTML,CSS,Dreamweaver,JavaScript,PHP,PHP.NET MySQL, CodeIgniter, Joomla Etc.6 Month,Basic 3 Month.4.গ্রাফিক্স ডিজাইন কোর্স – Photoshop, Illustrator,Auto Cad 2D & 3D Etc.5.ভিডিও এনিমেশন কোর্স :Adobe Premiere Pro,EDIUS ,Photo Impact Flash, 3D Max Etc.6.ফ্রিল্যান্সিং এবং আউটসোর্সিং,6 Month,Basic 3 Month,7.কম্পিউটার হার্ডওয়্যার ও নেটওয়ার্কিং কোর্স,8.ডাটাবেইজ কোর্স–MS Access,Oracle,MySQL Etc.প্রযুক্তিগত শিক্ষার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করে পারলে , বিশ্বায়নের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি প্রযুক্তিগত এবং কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিতরা দেশের বাইরে অর্থ উপার্জনে গেলে দেশের রেমিট্যান্স যেমন বাড়বে তেমনি দক্ষ জনশক্তি রফতানিকারক দেশ হিসেবে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তিও উজ্জ্বল,আপনার পেশা জীবনের লক্ষ্যগুলো পুনর্মূল্যায়ন করার ভবিষ্যতে আপনি নিজেকে কোন অবস্থানে দেখতে চান তা ঠিক করার উপযুক্ত সময়,দিন বদলের আহবান,কর্মমুখী শিক্ষাবেকারত্ব সমাধান। বি:দ্র: মহিলাদের জন্য আলাদা ব্যাচ,কর্মব্যস্ত ও চাকুরিজীবিদের জন্য শুক্রবার ব্যাচের ব্যবস্থা।গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার -ICT জাতীয় যুব উন্নয়ন



প্রযুক্তিগত
এবং কারিগরি শিক্ষার মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা সম্ভব।
কোর্স সমূহ:1.বেসিক কম্পিউটার অফিস ম্যানেজমেন্ট কোর্স – Microsoft Office Application:MS Word, Excel, PowerPoint, Access,PC Troubleshooting,Internet Operating System,Etc. 2.প্রোগ্রামিং কোর্স – C, Java,Visual basic,3.ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট কোর্স HTML,CSS,Dreamweaver,JavaScript,PHP,PHP.NET MySQL, CodeIgniter, Joomla Etc.6 Month,Basic 3 Month.4.গ্রাফিক্স ডিজাইন কোর্স – Photoshop, Illustrator,Auto Cad 2D & 3D Etc.5.ভিডিও এনিমেশন কোর্স :Adobe Premiere Pro,EDIUS ,Photo Impact Flash, 3D Max Etc.6.ফ্রিল্যান্সিং এবং আউটসোর্সিং,6 Month,Basic 3 Month,7.কম্পিউটার হার্ডওয়্যার ও নেটওয়ার্কিং কোর্স,8.ডাটাবেইজ কোর্স–MS Access,Oracle,MySQL Etc.প্রযুক্তিগত শিক্ষার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করে পারলে , বিশ্বায়নের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি প্রযুক্তিগত এবং কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিতরা দেশের বাইরে অর্থ উপার্জনে গেলে দেশের রেমিট্যান্স যেমন বাড়বে তেমনি দক্ষ জনশক্তি রফতানিকারক দেশ হিসেবে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তিও উজ্জ্বল,আপনার পেশা জীবনের লক্ষ্যগুলো পুনর্মূল্যায়ন করার ভবিষ্যতে আপনি নিজেকে কোন অবস্থানে দেখতে চান তা ঠিক করার উপযুক্ত সময়,দিন বদলের আহবান,কর্মমুখী শিক্ষা বেকারত্ব সমাধান। বি:দ্র: মহিলাদের জন্য আলাদা ব্যাচ,কর্মব্যস্ত ও চাকুরিজীবিদের জন্য শুক্রবার ব্যাচের ব্যবস্থা।
জাতীয় যুব উন্নয়ন কর্মসংস্থান একাডেমী,কারিগরী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট সাফল্যের শীর্ষে ১০ বৎসর বিভাগীয় প্রধান অফিস:রিকাবী বাজার,অডিটোরিয়াম এর বিপরীতে সিলেট. প্রযুক্তিগত এবং কারিগরি শিক্ষার মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা সম্ভব।National Youth Development & Career Building Academy Sylhet Bangladesh, Office: RikabiBazer Point (Opposite of Sylhet Auditorium),Call:01727-645990 Career Growth & Global Opportunities Course: 1. M.S Office Application: Data Entry Bangla , English Typing & Operating System 2. Software Developer & Data Bess Programming 3. Diploma in Graphics Design 4. Multimedia Animation, Graphics & Video Editing 5. Diploma Hardware Software Engineering 6. Web Development & Outsourcing with Photoshop, Basic data base etc. Class Time: RMorning Time: 1st Base 10.00-11.30...2nd Base 11.30-01.00 RAfternoon Time: 3rd Base 01.00-2.30,4th Base 03.00-4.30,5th Base 04.30-6.00 REvening Time: 6th Base 07.00-8.30 Office: RikabiBazer Point (Opposite of Sylhet Auditorium),Sylhet,VISIT-FB.COM/SYLHET.NYDTC Contact for Details.Call:01727-645990-:--Worldwide Computer Training At Your Workplace.গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার -ICT জাতীয় যুব উন্নয়ন কর্মসংস্থান একাডেমী,কারিগরী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট সাফল্যের শীর্ষে ১০ বৎসর বিভাগীয় প্রধান অফিস:রিকাবী বাজার,অডিটোরিয়াম এর বিপরীতে সিলেট. প্রযুক্তিগত এবং কারিগরি শিক্ষার মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা সম্ভব। কোর্স সমূহ:1.বেসিক কম্পিউটার অফিস ম্যানেজমেন্ট কোর্স – Microsoft Office Application:MS Word, Excel, PowerPoint, Access,PC Troubleshooting,Internet Operating System,Etc. 2.প্রোগ্রামিং কোর্স – C, Java,Visual basic,3.ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট কোর্স HTML,CSS,Dreamweaver,JavaScript,PHP,PHP.NET MySQL, CodeIgniter, Joomla Etc.6 Month,Basic 3 Month.4.গ্রাফিক্স ডিজাইন কোর্স – Photoshop, Illustrator,Auto Cad 2D & 3D Etc.5.ভিডিও এনিমেশন কোর্স :Adobe Premiere Pro,EDIUS ,Photo Impact Flash, 3D Max Etc.6.ফ্রিল্যান্সিং এবং আউটসোর্সিং,6 Month,Basic 3 Month,7.কম্পিউটার হার্ডওয়্যার ও নেটওয়ার্কিং কোর্স,8.ডাটাবেইজ কোর্স–MS Access,Oracle,MySQL Etc.প্রযুক্তিগত শিক্ষার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করে পারলে , বিশ্বায়নের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি প্রযুক্তিগত এবং কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিতরা দেশের বাইরে অর্থ উপার্জনে গেলে দেশের রেমিট্যান্স যেমন বাড়বে তেমনি দক্ষ জনশক্তি রফতানিকারক দেশ হিসেবে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তিও উজ্জ্বল,আপনার পেশা জীবনের লক্ষ্যগুলো পুনর্মূল্যায়ন করার ভবিষ্যতে আপনি নিজেকে কোন অবস্থানে দেখতে চান তা ঠিক করার উপযুক্ত সময়,দিন বদলের আহবান,কর্মমুখী শিক্ষাবেকারত্ব সমাধান। বি:দ্র: মহিলাদের জন্য আলাদা ব্যাচ,কর্মব্যস্ত ও চাকুরিজীবিদের জন্য শুক্রবার ব্যাচের ব্যবস্থা।


প্রযুক্তিগত এবং কারিগরি শিক্ষা বেকারত্বের একমাত্র সমাধান, প্রতিভা দিয়েই সব হয় না প্রয়োজন ইচ্ছাশক্তি, একাগ্রতা ও কঠোর পরিশ্রম।

প্রতিভা দিয়েই সব হয় না প্রয়োজন ইচ্ছাশক্তি, একাগ্রতা ও কঠোর পরিশ্রম,জ্ঞান -বিজ্ঞানের সকল শাখায় – সকল পেশায় এমনকি ব্যক্তি জীবনে কম্পিউটার প্রযুক্তি মানুষের নিত্যসঙ্গী, তাই সবার কম্পিউটার এর ব্যবহার জানা প্রয়োজন।

বিস্তারিত জানার জন্য যোগাযোগ করুন।
Call:01727 645 990



প্রযুক্তিগত এবং কারিগরি শিক্ষা বেকারত্বের একমাত্র সমাধান, প্রতিভা দিয়েই সব হয় না প্রয়োজন ইচ্ছাশক্তি, একাগ্রতা ও কঠোর পরিশ্রম।


Youth Development Chowhmony Noakhali

প্রতিভা দিয়েই সব হয় না প্রয়োজন ইচ্ছাশক্তি, একাগ্রতা ও কঠোর পরিশ্রম,জ্ঞান -বিজ্ঞানের সকল শাখায় – সকল পেশায় এমনকি ব্যক্তি জীবনে কম্পিউটার প্রযুক্তি মানুষের নিত্যসঙ্গী, তাই সবার কম্পিউটার এর ব্যবহার জানা প্রয়োজন।

বিস্তারিত জানার জন্য যোগাযোগ করুন।
Call:01727 645 990


Sunday, December 16, 2018

কর্মমুখী শিক্ষা বেকারত্বের এক মাত্র সমাধান

প্রতিভা দিয়েই সব হয় না প্রয়োজন ইচ্ছাশক্তি, একাগ্রতা ও কঠোর পরিশ্রম,জ্ঞান -বিজ্ঞানের সকল শাখায় – সকল পেশায় এমনকি ব্যক্তি জীবনে কম্পিউটার প্রযুক্তি মানুষের নিত্যসঙ্গী, তাই সবার কম্পিউটার এর ব্যবহার জানা প্রয়োজন।

প্রতিভা দিয়েই সব হয় না প্রয়োজন ইচ্ছাশক্তি, একাগ্রতা ও কঠোর পরিশ্রম,জ্ঞান -বিজ্ঞানের সকল শাখায় – সকল পেশায় এমনকি ব্যক্তি জীবনে কম্পিউটার প্রযুক্তি মানুষের নিত্যসঙ্গী, তাই সবার কম্পিউটার এর ব্যবহার জানা প্রয়োজন।




সালাম দেয়া সুন্নত

সালাম (আরবিسلام‎‎) একটি আরবি শব্দ। এর অর্থ হচ্ছে শান্তি, প্রশান্তি কল্যাণ, দোয়া, আরাম, আনন্দ, তৃপ্তি।[১] সালাম একটি সম্মানজনক, অভ্যর্থনামূলক, অভিনন্দনজ্ঞাপক, শান্তিময় উচ্চমর্যাদা সম্পন্ন পরিপূর্ণ ইসলামী অভিবাদন।
এটি উল্লেখ্য যে, ‘আস্‌-সালাম’ আল্লাহর সুন্দর নামসমূহের মধ্যে একটি অন্যতম নাম[২] এবং জান্নাতের নাম সমূহের মধ্যে একটি জান্নাতের নাম।[৩]

সালামের উৎপত্তিসম্পাদনা

মুসলিমরা বিশ্বাস করে যে আল্লাহ সর্বপ্রথমে প্রথম মানব আদমকে সালামের শিক্ষা দেন।[৪]
হাদিসে আছে, আবু হুরায়রাথেকে বর্ণিত হয়েছে রাছূলুল্লাহ মুহাম্মাদ(সাঃ) বলেন আল্লাহ আদম (আঃ)কে সৃষ্টি করে বলেন, যাও ফেরেশতাদেরদলকে সালাম দাও এবং তোমার সালামের কি উত্তর দেয় মন দিয়ে শুন। এটিই হবে তোমার আর তোমার সন্তানদের সালাম। সে অনুযায়ী আদম গিয়ে বলেন,
আস্‌সালামু আলাইকুম(অৰ্থ- ‘আপনাদের উপর শান্তি বর্ষিত হোক’)।
ফেরেশতারা উত্তর দেন,
আস্‌সালামু আলাইকা ওয়া রাহমাতুল্লাহ(অৰ্থঃ ‘আপনাদের উপর শান্তি এবং আল্লাহ রহমত বর্ষিত হোক’)।
ফেরেশতারা রাহমাতুল্লাহ বৃদ্ধি করেন।[৫]
সালাম দেওয়া সুন্নত। উত্তর দেওয়া ওয়াজিব

অন্যান্য নবীদের জীবনে সালামের প্রচলনসম্পাদনা

ইব্রাহিম(আঃ) এর ক্ষেত্রে, কুরআনে পাওয়া যায়-
এবং অবশ্যই আমার ফেরেশতারা সুসংবাদ নিয়ে ইব্রাহীমের নিকট এসেছিল। তারা সালাম জানায়। তিনিও ‘সালাম’ দেন।[৬]

অন্যের গৃহে সালাম না দিয়ে প্রবেশ করা নিষেধসম্পাদনা

কুরআন-এ আল্লাহ নির্দেশ দিয়েছেন যে,
হে মুমিনগণ, তোমরা নিজেদের গৃহ ব্যতীত অন্য গৃহে প্রবেশ করো না, যে পর্যন্ত আলাপ পরিচয় না কর এবং গৃহবাসীদেরকে সালাম না কর। এটাই তোমাদের জন্য উত্তম। যাতে তোমরা স্মরণ রাখো। [৭]
হাদিসে অন্যের গৃহে গিয়ে তিনবার সালাম দিতে বলা হয়েছে এবং অনুমতি প্রার্থনা করতে বলা হয়েছে। অনুমতি নাদিলে চলে আসতে বলা হয়েছে।[৮]

সালামের বিধানসম্পাদনা

সালাম দেয়া সুন্নত। আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন,
[৯] يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ لَا تَدۡخُلُواْ بُيُوتًا غَيۡرَ بُيُوتِكُمۡ حَتَّىٰ تَسۡتَأۡنِسُواْ وَتُسَلِّمُواْ عَلَىٰٓ أَهۡلِهَاۚ ذَٰلِكُمۡ خَيۡرٞ لَّكُمۡ لَعَلَّكُمۡ تَذَكَّرُونَ
“হে মুমিনগণ, তোমরা নিজদের গৃহ ছাড়া অন্য কারও গৃহে প্রশে করো না, যতক্ষণ না তোমরা অনুমতি নেবে এবং গৃহবাসীদেরকে সালাম দেবে”। [১০]
আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু’ হতে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম’ বলেন,
«لا تدخلوا الجنة حتى تؤمنوا ولا تؤمنوا حتى تحابوا أو لا أدلكم على شيء إذا فعلتموه تحاببتم؟ أفشوا السلام بينكم» رواه مسلم.
“তোমরা ততক্ষণ পর্যন্ত জান্নাতে প্রবেশ করবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত তোমরা পরিপূর্ণ ঈমানদার হতে পারবে না। আর ততক্ষণ পর্যন্ত তোমরা পরিপূর্ণ ঈমানদার হবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত তুমি তোমরা একে অপরকে ভালবাসবে না, আমি কি তোমাদেরকে এমন একটি জিনিস বাতলে দেব, যা করলে তোমরা পরস্পর পরস্পরকে ভালো বাসবে? তারপর তিনি বললেন, তোমারা বেশি বেশি করে সালামকে প্রসার কর”[১১]
কোনো জামাতকে সালাম দেয়ার ক্ষেত্রে সালাম শব্দটি মারেফা (السلام) বা নাকিরা (سلام) উভয় প্রকারে ব্যবহার করা যাবে। কারণ, হাদিসে উভয় প্রকারের ব্যবহার প্রমাণিত আছে। আল্লামা ইবনুল বান্না রহ. বলেন, সম্ভাষণের সালাম নাকিরা হবে, আর বিদায়ী সালাম মারেফা হবে।
জামাতের মধ্য হতে যে কোনো একজনের সালাম দেয়া দ্বারা সুন্নত আদায় হয়ে যাবে। উত্তম হল জামাতের সবাইকে সালাম দেয়া। কারণ, হাদিসে বলা হয়েছে «أفشوا السلام بينكم» অর্থাৎ, তোমরা তোমাদের পরস্পরের মধ্যে সালামকে প্রসার কর।
আর যে সব ক্ষেত্রে সালাম দেয়া মাকরূহ, সে সব ক্ষেত্রগুলোকে আল্লামা গায্যি রহ. কাব্য আকারে উল্লেখ করেন। নিম্নে তার কাব্যগুলো উল্লেখ করা হল:
سلامك مكروه على من
অর্থ: যাদের সালাম দেয়া মাকরূহ নিম্নে তাদের আলোচনা করা হল: এরা ছাড়া বাকী যাদের সাথে তোমার দেখা হবে, তাদের সালাম দেয়া সুন্নত ও বৈধ। সালাতরত ব্যক্তি, তিলাওয়াতকারী, যিকিরকারী, হাদিস পাঠদানকারী, খুতবাদানকারী এবং যারা খুতবা শুনায় মগ্ন [তাদের সালাম দেয়া মাকরূহ]। ফিকহ নিয়ে আলোচনাকারী, বিচারক যিনি বিচার কার্যে ব্যস্ত [তাকেও সালাম দেয়া মাকরূহ]। আর যারা ফিকহ নিয়ে গবেষণা করছে তাদেরও তোমরা সালাম দেয়া হতে বিরত থাক, যাতে তারা উপকৃত হয়। মুয়াজ্জিন, ইকামত দানকারি ও পাঠদানকারীদের সালাম দেয়া মাকরূহ। অনুরূপভাবে অপরিচিত যুবতী নারী, [যাদের সালাম দেয়াতে ফিতনার আশংকা থাকে] তাদের সালাম দেয়া কোন ক্রমেই উচিত নয়। যারা দাবা খেলায় মগ্ন তাদের ও তাদের মত লোকদের সালাম দেয়া মাকরূহ। আর যে ব্যক্তি তার স্ত্রীর সাথে খেল-তামাশায় মগ্ন [তাদের সালাম দেয়া যাবে না]। কাফের ও লেংটা লোককে সালাম দেবে না, পেশাব পায়খানায় লিপ্তদের সালাম দেয়া হতে বিরত থাকবে। অনুরূপভাবে খাওয়ায় ব্যস্ত [লোককে সালাম দেবে না], তবে যদি তুমি ক্ষুধার্ত হও এবং জান যে লোকটি তোমাকে ফিরিয়ে দেবে না। অনুরূপভাবে শিক্ষক যিনি লেকচার দেয়ায় ব্যস্ত। মনে রাখবে এ হল, শেষ ব্যক্তি বাকীদের সালাম দেয়াতে তুমি উপকার লাভ করবে।
সালামের উত্তর দেয়ার বিধান:
সালামের উত্তর দেয়া ফরযে কিফায়াহ। যদি উপস্থিত লোক একজন হয়, তবে তাকেই সালামের উত্তর দিতে হবে। কারণ, আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন,
﴿وَإِذَا حُيِّيتُم بِتَحِيَّةٖ فَحَيُّواْ بِأَحۡسَنَ مِنۡهَآ أَوۡ رُدُّوهَآۗ ٨٦ ﴾ [النساء: ٨٦]
“আর যখন তোমাদেরকে সালাম দেয়া হবে, তখন তোমরা তার চেয়ে উত্তম সালাম দেবে। অথবা জবাবে তাই দেবে”। [সূরা নিসা, আয়াত: ৮৬]
আলী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু’ হতে মারফু হাদিস বর্ণিত, তিনি বলেন,
«يجزي عن الجماعة: إذا مروا أن يسلم أحدهم ويجري عن الجلوس أن يرد أحدهم» رواه أبو داود.
“যখন কোন জামাত অতিক্রম করে, তখন তাদের থেকে যে কোন একজনের সালাম যথেষ্ট হবে এবং কোন মজলিস হতে যে কোন একজন সালামের উত্তর দিলে তা সকলের পক্ষ থেকে যথেষ্ট হবে”। আবু-দাউদ ।
সালাম দেয়ার পদ্ধতি: যে ব্যক্তি আগে সালাম দেবে, তার জন্য মোস্তাহাব হল, সে বলবে- «السلام عليكم ورحمة الله وبركاته» সালাম দেয়ার ক্ষেত্রে বহুবচন শব্দ ব্যবহার করবে। যদিও উপস্থিত ব্যক্তি একজন হয়। আর সালামের উত্তর দাতা এ বলে উত্তর দেবে: وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته، সালামের উত্তরে واو العطف উল্লেখ করবে। আর মনে রাখবে, সালাম দেয়ার সময় কেউ যদি السلام عليكم এবং উত্তর দেয়ার সময় শুধু وعليكم السلام. বলে, তাতে সালাম আদায় হয়ে যাবে। যখন কোনো একজন মুসলিমকে সালাম দেয়া হল, তারপর তার সাথে যতবার দেখা হবে, ততবার সালাম দেবে। কারণ, হাদিসে সালামকে প্রসার করার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম’ বলেন, «أفشوا السلام بينكم» “তোমরা সালামকে প্রসার কর”।
আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু’ হতে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম’ বলেন,
«إذا لقي أحدكم أخاه فليسلم عليه، فإن حالت بينهما شجرة أو جدار أو حجر ثم لقيه فليسلم عليه» رواه أبو داود، وحديث المسيء وتقدم.
“যখন তোমরা তোমাদের কোন ভাইয়ের সাথে সাক্ষাত কর, তাকে সালাম দাও। যদি তোমাদের উভয়ের মাঝে কোন গাছ কিংবা পাথর বা দেয়াল বিচ্ছিন্নতা ঘটায়, তারপর আবার দেখা হয়, তাহলে আবারও সালাম দাও”।
মনে রাখবে, আগে সালাম দেয়া সুন্নত। কারণ, আবু উমামাহ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু’ হতে হাদিস বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম’ বলেন, «إن أولى الناس بالله من بدأهم بالسلام»
“নিশ্চয় আল্লাহর নিকট উত্তম ব্যক্তি সে যে মানুষকে আগে সালাম দেয়”। বর্ণনায় আবু-দাউদ শক্তিশালী সনদে।
মজলিস থেকে ফিরে যাওয়ার সময়, সালাম দেয়া মোস্তাহাব। কারণ আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু’ হতে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম’ বলেন, «إذا انتهى أحدكم إلى المجلس فليسلم فإذا أراد أن يقوم فليسلم فليست الأولى بأحق من الآخرة» “যখন তোমরা কোন মজলিসে গিয়ে পৌছবে তখন তুমি সালাম দেবে। আর যখন তুমি মজলিস শেষ করে মজলিস থেকে উঠে দাঁড়াবে, তখনও সালাম দেবে। প্রথম সালাম শেষের সালাম থেকে অধিক গুরুত্ব বহন করে না”। বর্ণনায় আবু-দাউদ ও তিরমিযী এবং ইমাম তিরমিযী বলেন, হাদিসটি হাসান।
বাচ্চাদের সালাম দেয়া মোস্তাহাব। প্রমাণ:
عن أنس أنه مر على صبيان فسلم عليهم وقال: «كان رسول الله  يفعله» متفق عليه
অর্থ: আনাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু’ হতে বর্ণিত, তিনি বাচ্চাদের নিকট দিয়ে অতিক্রম করেন এবং তাদের সালাম দেন এবং বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম’ অনুরূপ করতেন। বুখারি ও মুসলিম। আল্লাহ ভালো জানেন।
অধ্যায়
সালামের আরও কিছু বিধান
ছোটরা বড়দের সালাম দেবে, কম লোক বেশি লোককে সালাম দেবে এবং আরোহী ব্যক্তি পায়ে হাটা ব্যক্তিকে সালাম দেবে। কারণ, আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু’ হতে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম’ বলেন,
«ليسلم الصغير على الكبير، والمار على القاعد، والقليل على الكثير» متفق عليه، وفي رواية لمسلم: «والراكب على الماشي».
“ছোটরা যেন বড়দের সালাম দেয়, পায়ে হাটা ব্যক্তি যেন বসা ব্যক্তিকে সালাম দেয় এবং কম সংখ্যক লোক যেন বেশি সংখ্যক লোককে সালাম দেয়”। বুখারি ও মুসলিম। আর মুসলিমের বর্ণনায় বর্ণিত, “আরোহী ব্যক্তি পায়ে হাটা ব্যক্তিকে সালাম দেবে”।
যখন দুই সাক্ষাতকারী পরস্পর সালাম দেয় এবং পরস্পরের সালাম শুনতে পায়, তখন উভয়ের উপরই সালামের উত্তর দেয়া ওয়াজিব হয়ে যায়। আর যখন কোনো এক দল লোক কোনো বসা ব্যক্তি বা বসা লোকদের মজলিসে উপস্থিত হবে, তখন সে প্রথমে তাদের সালাম দেবে। কারণ রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম’ বলেন, «والمار على القاعد» আর যখন কোনো ব্যক্তি দেয়ালের ওপাশ থেকে সালাম দেয়, তখন তার নিকট সালাম পৌছার পর, উত্তর দেয়া ওয়াজিব।
আর যখন কোনো ব্যক্তি দূর থেকে চিঠির মাধ্যমে অথবা দূতের মাধ্যমে কাউকে সালাম দেয়, তখন তার নিকট সালাম পৌছার পর সালামের উত্তর দেয়া ওয়াজিব। তবে মোস্তাহাব হল, দূতকেও সালাম দেয়া এবং এ কথা বলা, وعليك وعليه السلام তোমার উপর ও তার উপর সালাম। কারণ, হাদিসে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম’কে একজন ব্যক্তি এসে বলল,
أبي يقرؤك السلام فقال: «عليك وعلى أبيك السلام».
“আমার পিতা আপনাকে সালাম দিয়েছে।” এ কথা শোনে রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম’ বললেন, “তোমার উপর এবং তোমার পিতার উপর সালাম” ।
ইমাম আহমদ ইবন হাম্বল রহ. কে বলা হল, অমুক আপনাকে সালাম দিয়েছে। তখন তিনি বললেন, ‘তোমার উপর ও তার উপর সালাম’।
যদি কোনো ব্যক্তি বধিরকে সালাম দেয়, তখন মুখে বলবে এবং হাতে ইশারা করবে। আর বোবা ব্যক্তির সালাম দেয়া ও উত্তর দেয়া উভয়টি ইশারা দ্বারা হবে। কারণ, তার ইশারা কথার স্থলাভিষিক্ত। আর নারীদের সালাম দেয়া পুরুষদের পরস্পরের সালামের মতই- কোনো পার্থক্য নাই।
একজন পুরুষ অপর পুরুষের সাথে মুসাফাহা করা মুস্তাহাব, অনুরূপভাবে একজন নারী অপর নারীর সাথে মুসাফাহা করা মুস্তাহাব।
প্রমাণ: আবু খাত্তাব, ক্বাতাদা রহেমাহুল্লাহ থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন,
“قلت لأنس: أكانت المصافحة في أصحاب رسول الله  قال: نعم”
“আমি আনাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু’ কে জিজ্ঞাসা করলাম রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম’ এর যুগে মুসাফাহা করার প্রচলন ছিল কিনা? উত্তরে তিনি বলেন, হ্যাঁ, ছিল”। বর্ণনায় বুখারি।
বারা ইব্‌ন আযেব রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু’ হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম’ এরশাদ করেন,
«ما من مسلمين يلتقيان فيتصافحان إلا غفر لهما قبل أن يفترقا» رواه أبو داود.
“যখন দুইজন মুসলিম একত্র হবে এবং একে অপরের সাথে মুসাফাহা করে তখন তারা উভয় বিচ্ছিন্ন হওয়ার পূর্বে আল্লাহ্ তা‘আলা তাদের উভয়কে ক্ষমা করে দেন”। বর্ণনায় আবু-দাউদ
যখন তুমি এমন কোনো একদল লোকের মজলিসে প্রবেশ করবে যেখানে ওলামাগণও উপস্থিত আছে, তখন প্রথমে তাদের সবাইকে সালাম দেবে, তারপর আলেমদের আলাদাভাবে সালাম দেবে; যাতে সাধারণ মানুষ ও আলেমদের মধ্যে পার্থক্য বুঝা যায়। অনুরূপভাবে যদি মজলিসে একজন আলেম থাকে তাকেও আলাদাভাবে সালাম দেবে।
সালাম দেয়ার সময় মাথা ঝুঁকানো সম্পূর্ণ অবৈধ, তবে কোলাকুলি করা বৈধ। প্রমাণ:
আনাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু’ হতে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«قال رجل يا رسول الله، الرجل منا يلقى أخاه أو صديقه أينحني له؟ قال: لا، قال: أفيلتزمه ويقبله؟ قال: لا، قال: فيأخذ بيده ويصافحه؟ قال: نعم»
“এক ব্যক্তি বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের মধ্য হতে কোন লোক তার অপর ভাই অথবা বন্ধুর সাথে সাক্ষাত করলে, সে কি তার সম্মানে মাথা নিচু করবে। রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম’ না, তারপর সে বলল, তাকে জড়িয়ে ধরবে কিনা এবং চুমু দেবে কিনা? রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম’ বললেন, না, তারপর আবার জিজ্ঞাসা করা হল, তার হাত ধরে তার সাথে মুসাফাহা করবে কিনা? বলল, হ্যাঁ”। বর্ণনায় তিরমিযী এবং তিনি বলেন, হাদিসটি হাসান সহীহ।
আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু’ হতে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«قدم زيد بن حارثة ورسول الله  في بيتي فأتاه فقرع الباب فقام إليه النبي  يجر ثوبه فاعتنقه وقبله»
“যায়েদ ইব্‌ন হারেসা মদিনায় আগমন করল, তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম’ আমার ঘরে ছিল, সে আমার বাড়ীতে রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম’ এর নিকট এসে দরজায় আওয়াজ করল। রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম’ তার দিকে উঠে দাঁড়াল, তারপর তার সাথে মু‘আনাকা করল এবং তাকে চুমু দিল”। বর্ণনায় তিরমিযী এবং তিনি বলেন, হাদিসটি হাসান।
আর যখন ঘরে প্রবেশ করবে, তখন সালাম দেয়া সুন্নত। আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন,
﴿فَإِذَا دَخَلۡتُم بُيُوتٗا فَسَلِّمُواْ عَلَىٰٓ أَنفُسِكُمۡ تَحِيَّةٗ مِّنۡ عِندِ ٱللَّهِ مُبَٰرَكَةٗ طَيِّبَةٗۚ ٦١ ﴾ [النور: ٦١]
“তবে তোমরা যখন কোন ঘরে প্রবেশ করবে তখন তোমরা নিজদের উপর সালাম করবে, আল্লাহর পক্ষ থেকে বরকতপূর্ণ ও পবিত্র অভিবাদনস্বরূপ”। [সূরা নূর, আয়াত: ৬১]
আনাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু’ হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম’ বলেন,
«يا بني إذا دخلت على أهلك فسلم يكن بركة عليك وعلى أهلك» رواه الترمذي، وقال حديث حسن.
“হে বৎস! তুমি যখন ঘরে প্রবেশ করবে, তখন সালাম দাও। তা তোমার জন্য ও তোমার পরিবার পরিজনের জন্য বরকত হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে”। বর্ণনায় তিরমিযী এবং তিনি বলেন, হাদিসটি হাসান।
আনাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু’ হতে বর্ণিত রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম’ বলেন,
«إذا خرج الرجل من بيته فقال بسم الله توكلت على الله لا حول ولا قوة إلا بالله يقال له هديت وكفيت ووقيت وتنحى عنه الشيطان» رواه الترمذي، و حسنه والنسائي وابن حبان في صحيحه.
“যখন কোন ব্যক্তি ঘর থেকে বের হওয়ার সময় এ দো‘আ পাঠ করে, بسم الله توكلت على الله لا حول ولا قوة إلا بالله তাকে বলা হয়, তোমাকে হেদায়েত দেয়া হয়েছে, তোমাকে বাঁচানো হয়েছে। আর শয়তান তার থেকে দূর হয়ে যায়। বর্ণনায় তিরমিযী, তিনি হাদিসটিকে হাসান আখ্যায়িত করেন, নাসায়ী ও ইবনে হিব্বান; তার সহীহতে।
সূনানে আবু দাউদে আবু মালেক আল-আশআরী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু’ হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম’ বলেন,
«إذا ولج الرجل بيته فليقل: اللهم إني أسألك خير المولج وخير المخرج بسم الله ولجنا وبسم الله خرجنا وعلى الله ربنا توكلنا ثم ليسلم على أهله» حديث حسن.
“যখন কোন ব্যক্তি ঘরে প্রবেশ করে, সে যেন এ দো‘আ পাঠ করে।
«اللهم إني أسألك خير المولج وخير المخرج بسم الله ولجنا وبسم الله خرجنا وعلى الله ربنا توكلنا»
“হে আল্লাহ! তোমার নিকট উত্তম বাসস্থান চাই এবং উত্তম বের হওয়া চাই। হে আল্লাহ! আমরা আল্লাহর নামে প্রবেশ করলাম এবং আল্লাহর নামে বের হলাম। হে আমাদের রব আমরা আল্লাহর উপর ভরসা করলাম”। তারপর সে তার পরিবার-পরিজনকে সালাম দেবে”।

আস্সালামু 'আলাইকুম', যার অর্থ 'আপনাদের প্রতি মহান আল্লাহ শান্তি বর্ষিত হোক'

ভালবাসতে চাই মানুষকে, পৃথিবীকে, ভালবাসিও, কিন্তু যখনি দেখি অপচ্ছায়া ঢেকে ফেলছে আমার ভালবাসাকে, তখনি যেন নিজেকে আর খুঁজে পাই না নিজের মাঝেই,,, এই না পাওয়ার প্রকাশই আমার কথা, কাজ, কাব্য, গদ্য, নীরবতা, আক্রোশ, এটাই পৃথিবীতে আমার প্রকাশ, আমার ভূমিকা। ভালবাসতে চাই মানুষকে, পৃথিবীকে, ভালবাসিও, কিন্তু যখনি দেখি অপচ্ছায়া ঢেকে ফেলছে আমার ভালবাসাকে, তখনি যেন নিজেকে আর খুঁজে পাই না নিজের মাঝেই,,, এই না পাওয়ার প্রকাশই আমার কথা, কাজ, কাব্য, গদ্য, নীরবতা, আক্রোশ, এটাই পৃথিবীতে আমার প্রকাশ, আমার ভূমিকা।

মির্জা শাহাদাৎ  › বিস্তারিত পোস্টঃ

@ আপনাদের উপর শান্তি বর্ষিত হোক (প্রথমার্ধ)

১৫ ই আগস্ট, ২০০৬ রাত ১১:৫৯


সভ্য জগতের মানুষেরা সবসময়েই নিজেদের মধ্যে শুভেচ্ছার আদান-প্রদানের জন্য কিছু ভালো ভালো শব্দ বেছে নিয়েছে; যা দ্বারা একে অন্যের প্রতি শুভ-কামনা, সৌহার্দ প্রকাশ ও দো'আ করে থাকে। ইসলাম যেহেতু একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা, তাই তারও রয়েছে নিজস্ব পরিপূর্ণ কালচার; যেখানে এই 'সাক্ষাতে শুভেচ্ছা বিনিময়ের' জন্যেও রয়েছে দারুন সুন্দর ব্যবস্থা, যাকে আমরা বলি 'সালাম'। পরিপূর্ণ শব্দগুলো হচ্ছে- 'আস্সালামু 'আলাইকুম', যার অর্থ 'আপনাদের প্রতি শান্তি বর্ষিত হোক', এর সাথে আরো যুক্ত করা হয় 'ওয়ারাহ্মাতুল্লাহ্' এবং 'ওয়াবারাকাতুহ্' অর্থাৎ, 'এবং আল্লাহ্র পক্ষ থেকে রহমত ও তাঁর পক্ষ থেকে বরকতসহ'। মহাগ্রন্থ আল কুরআনে আল্লাহ্ বলেন ঃ [গাঢ়]"হে মুমিনগণ, তোমরা নিজেদের গৃহ ব্যতীত অন্য গৃহসমূহে প্রবেশ করো না যে পর্যন্ত আলাপ-পরিচয় না কর এবং গৃহবাসীদেরকে সালাম না কর। এটাই তোমাদের জন্য উত্তম, যাতে তোমরা স্মরণ রাখ।"[/গাঢ়] [সূরা আন্-নূর ঃ 27]



[গাঢ়]সালামের ফযীলত এবং এর বিস্তারের আদেশ ঃ[/গাঢ়] সাধারণভাবে মানুষের মন মাত্রই চায় যে, অন্যেরা তাকে ভালবাসুক, তার জন্য অন্য মানুষেরা অন্তরে মমতা, ভালবাসা ও শ্রদ্ধাবোধ অনুভব করুক। তাহলে কি সেই পন্থা, যার দ্বারা এই ভালবাসার সূত্রপাত ঘটানো সম্ভব? প্রিয় রাসূল সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন ঃ [গাঢ়]'তোমরা ততক্ষণ পর্যন্ত জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না যতক্ষণ না মুমিন হবে। আর ততক্ষণ পর্যন্ত পূর্ণ মুমিন হতে পারবে না যতক্ষণ না পরস্পরকে ভালবাসবে। আমি কি তোমাদেরকে এমন একটি কাজের কথা বলে দেব না, যা করলে তোমরা পরস্পরকে ভালবাসবে? তোমরা নিজেদের মধ্যে সালামের প্রসার-বিস্তার কর।'[/গাঢ়] [আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু 'আনহু থেকে বর্ণিত, মুসলিম ঃ 54] তাহলে হাদীসের ভাষ্যানুযায়ী কি শুধু ভালবাসাই পেলাম? না, আরো অজস্র অজস্র পেলাম এখান থেকেই। দেয়া-নেয়ার মাঝে লুকিয়ে আছে 'ভালবাসা', পারস্পরিক ভালবাসার মাঝে লুকিয়ে আছে 'মুমিনের অন্তর' আর সত্যিকারের মুমিন হওয়ার বিনিময়ে রয়েছে চির শান্তির 'জান্নাত'! আল্লাহ্র রাসূল সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালামের প্রসার ঘটানোর জন্য আদেশ করেছেন, এ সুন্নাত মুমিন মাত্রেরই গুরুত্বপূর্ণ মনে করে পালন করা উচিত।



রাসূল সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে সালামের এত বেশী প্রচলন করতে বলেছেন, যা তার এ হাদীসটি থেকে জানতে পারি, যেখানে তিনি বলেছেন ঃ [গাঢ়]'যখন তোমাদের কেউ তার (যে কোন মুসলিম)ভাইয়ের সাথে সাক্ষাত করে সে যেন তাকে সালাম করে। অতঃপর যদি তাদের উভয়ের মাঝে গাছ, দেয়াল অথবা পাথরের আড়াল হয়, তারপর আবার দেখা হয়, তাহলে যেন আবার সালাম করে।'[/গাঢ়] [আবু দাউদ ঃ 5200 এবং নাসিরুদ্দীন আলবানী তার 'সিলসিলাতুল আহাদীস আস্-সহীহা' গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন।]



[গাঢ়]সালাম আদান-প্রদানের নিয়ম-পদ্ধতি ও আদব ঃ[/গাঢ়] সমগ্র মানবতার জন্য আল্লাহ্ যাকে রহমত ও শিক্ষক করে পাঠিয়েছেন তিনিই আমাদেরকে শিখিয়ে দিয়ে গেছেন কিভাবে সালাম করতে হবে এবং কিভাবে তা থেকে অধিক সাফল্য অর্জন করতে হবে। ইমরান বিন হুসাইন রাদিয়াল্লাহু 'আনহুমা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন ঃ [গাঢ়]'জনৈক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট এসে বললো ঃ 'আস্সালামু আলাইকুম'। তিনি সালামের উত্তর দিলেন। অতঃপর লোকটি বসে পড়লে তিনি বলেন ঃ দশটি নেকী বা পূণ্য লাভ করলো। অতঃপর দ্বিতীয় ব্যক্তি এসে বললো ঃ 'আস্সালামু 'আলাইকুম ওয়ারাহ্মাতুল্লাহ্'। তিনি তার সালামের জবাব দিলেন। অতঃপর লোকটি বসে পড়লে তিনি বললেন ঃ বিশটি নেকী লাভ করলো। অতঃপর তৃতীয় ব্যক্তি এসে বললো ঃ আস্সালামু 'আলাইকুম ওয়ারাহ্মাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ্'। তিনি সালামের জবাব দিলেন। অতঃপর সে বসে পড়লে তিনি বললেন ঃ ত্রিশটি নেকী লাভ করলো।'[/গাঢ়] [আবু দাউদ ঃ 5195, তিরমিযী ঃ 2689, তিরমিযীর ভাস্যানুযায়ী হাদীসটি হাসান।]



দূর থেকে হাতের ইশারায়ও সালাম দেয়া যায়, যার প্রমাণ পাই আসমা বিনতে ইয়াযীদ রাদিয়াল্লাহু 'আনহা থেকে বর্ণিত হাদীস থেকে, যেখানে তিনি বর্ণনা করেন ঃ [গাঢ়]'রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদা মসজিদ অতিক্রম করে যাচ্ছিলেন। সেখানে মহিলাদের একটি দল বসে ছিল। তিনি তাদেরকে হাতের ইশারায় সালাম করলেন।'[/গাঢ়] [তিরমিযী ঃ 2897] রাসূল এখানে সালামের শব্দ উচ্চারণ করেন এবং সাথে সাথে হাতের ইশারা করেন, যার সমর্থন আবু দাউদের বর্ণনায় রয়েছে, যেখানে রয়েছে- 'তিনি আমাদেরকে সালাম করলেন'।



কে কাকে আগে সালাম করবে, এ নিয়ে নানা কথা শোনা যায়। আসুন দেখি ইসলামের মহান শিক্ষক কি বলেছেন এ ব্যাপারে। আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু 'আনহু থেকে বর্ণিত হাদীসে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন ঃ [গাঢ়]'আরোহণকারী পদব্রজে গমনকারী ব্যক্তিকে সালাম করবে, পদব্রজে গমনকারী উপবেশনকারীকে সালাম করবে এবং অল্পসংখ্যক অধিকসংখ্যক লোককে সালাম করবে।'[/গাঢ়] [বুখারী ঃ 6231, মুসলিম ঃ 2160] এ ব্যাপারে বুখারীর অন্য এক বর্ণনায় রয়েছে, [গাঢ়]'ছোট বড়কে সালাম করবে'[/গাঢ়]। কিন্তু মহানুভব রাসূল যদি আমাদেরকে ভালবাসা ও মমত্ববোধ না শেখাবেন, তো আর কে শেখাবেন? তাইতো তার মত সর্বোত্তম শিক্ষকের কাছ থেকে শিক্ষা পেয়ে 'যোগ্য ছাত্র' সাহাবী আনাস রাদিয়াল্লাহু 'আনহু তাই করতেন যা রাসূলকে করতে দেখেছেন। [গাঢ়]'তিনি (আনাস) বাচ্চাদের পাশ দিয়ে অতিক্রম করলে তাদেরকে সালাম করলেন এবং বললেন ঃ রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরূপ করতেন।'[/গাঢ়] [বুখারী ঃ 6247, মুসলিম ঃ 2168] তাই ছোটদেরই উচিত বড়দের আগে সালাম করা, কিন্তু বড়রাও যখন ছোটদের কাছে যাবে কিংবা তাদের অতিক্রম করবেন তখন ছোটদের সালাম করবেন; এটাই রাসূলের শিক্ষা।



অমুসলিমদের প্রতি সালামের ক্ষেত্রে কিরূপ আচরণ হবে এ ব্যাপারে রাসূল সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন ঃ [গাঢ়]'ইয়াহূদী ও নাসারারা তোমাদেরকে সালাম করলে তোমরা বল ঃ 'ওয়া'আলাইকুম'।'[/গাঢ়] [বুখারী ঃ 6258, মুসলিম ঃ 2163] এখানে যারা আসমানী কিতাব পেয়েছিল একসময় তাদের ব্যাপারেই এমন বলা হয়েছে, এর বাইরে অন্য যেসব ধর্মাবলম্বীরা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম। কোন মজলিসে বা সমষ্টিতে যদি মুসলিম, ইয়াহূদী, খ্রীস্টান, অগি্নউপাসক, মূর্তিপূজক ইত্যাদির মিশ্রণ থাকে তবে সেখানেও সালাম দেয়া জরুরী। যেমনটি আমরা উসামা রাদিয়াল্লাহু 'আনহুর বর্ণনায় পাই, তিনি বলেন ঃ [গাঢ়]'নবী সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক মজলিসের পাশ দিয়ে অতিক্রম করলে তাদেরকে সালাম করেন। তাতে মুসলমান, মুশরিক, মূর্তিপূজক, ইয়াহূদী (সব রকম লোকের) সমাগম ছিল।'[/গাঢ়] [বুখারী ঃ 6254, মুসলিম ঃ 1798]

[[চলবে]]



[[লেখাটির পূর্ণ স্বাদ পেতে হলে অবশ্যই শেষার্ধ পড়ার অনুরোধ করছি]]